Connect with us

নিউইয়র্ক

চীনা নয়, এবার ভিয়েতনামী পোশাক পছন্দ করছেন মার্কিনীরা!

Published

on

চীনা নয়, এবার ভিয়েতনামী পোশাক পছন্দ করছেন মার্কিনীরা!

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন। পরের অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম কয়েক মাস ধরে চীনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল। অর্থাৎ চীনের কাছাকাছি রপ্তানি করছিল ভিয়েতনাম। অবশেষে গত এপ্রিল শেষে এই বাজারে চীনকে টপকে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক হয়ে গেছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের বাজার ধারাবাহিকভাবেই কমছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। সে হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে চীন ৪৩২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ৪৩৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তার মানে, চীনের থেকে ৬ কোটি ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে চীনের রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ । যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা চীন ও ভিয়েতনাম থেকেই প্রায় ৪০ শতাংশ তৈরি পোশাক আমদানি করছে। আর বাংলাদেশ থেকে ৯ শতাংশ। এই বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার হিস্যা ৫ শতাংশের ঘরে।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা মোট ৯ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে। গত বছর সেটি ২২ শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন দেশ থেকে ৭ হাজার ৭৮৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ পাঁচ দেশের রপ্তানি প্রায় একই হারে কমেছে। চলতি বছর থেকে ব্যবসা কিছুটা বাড়তে থাকে। এতে ভিয়েতনামের ব্যবসা বাড়লেও শীর্ষ পাঁচে থাকে বাকি চার দেশ অর্থাৎ চীন, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। গত বছর শেষে রপ্তানি কমার হার ছিল ২৫ শতাংশ। তার মানে বড় এই বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। তবে রপ্তানি কমার হার কিছুটা কমেছে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending