Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

জ্যাকসন হাইটসের মেরিট কাবাবে আগুন, ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তধারাও

Published

on

জ্যাকসন হাইটসের মেরিট কাবাবে আগুন, ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তধারাও

নিউইয়র্কে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। গেল ২৬ জুন , বুধবার রাতে স্থানীয় ডাইভারসিটি প্লাজার কাছে ৭৪ স্ট্রীটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশী মালিকানাধীন মেরিট কাবাব থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল বলে জানা গেছে। পরে তা আশপাশের দোকানপাটে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুক্তধারা স্টোর একেবারে পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ টি গাড়ি উপস্থিত হয়ে দুই ঘন্টার বেশি সময় ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রচন্ড বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে কী কারণে আগুন সেটা ঠিক জানানো হয়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় মুক্তধারা নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা নিউইয়র্ক সময়কে জানান, সেদিন রাত ১১টার দিকে শপ বন্ধ করে চলে যাবার পর এক বন্ধুর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পারেন তিনি। এরপর ছুটে এসে দেখেন আগুনের লেলিহান শিখা উড়ছে। চারিদিকে অন্ধকার। ফায়ার সার্ভিসের নিয়োজিত কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টায় ছিল বলে সেভেন ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। চারপাশে ব্যারিকেড দেয়া হয়। আর এ কারণে মুক্তধারায় যেতে পারেননি তিনি।
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, প্রায় সাড়ে তিনটা নাগাদ দমকল বাহিনীর অনুমতি নিয়ে দোকানে গেলেও তীব্র ধোঁয়া আর পানির কারণে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি জানা যায়নি। এসময়, ফায়ার সার্ভিস ধোঁয়া বের করার জন্য মুক্তধারার জানালা কেটে ফেলে। গেল ৩০ বছরের ছাপানো দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য সব বই নষ্ট হয়ে গেছে। এটা বড় ধরনের ক্ষতি। টাকার অঙ্কে কত লোকসান হলো সেটি বলতে পারবো না এখনও। তবে এতটুকু বলতে পারি সারা আমেরিকায় মুক্তধারা একটি প্রতিষ্ঠান যারা কিনা বাংলা সাহিত্য, বাংলা বই নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ-পশ্চিম বাংলার অনেক দুর্লভ বই ছিল।
চার বছর আগেও মেরিট কাবাবে আগুনের ঘটনা ঘটে। বারবার একই অঘটন ঘটায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের অসচেতনতাকে দুষছেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর আগেও এই মেরিট কাবাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর সেই রেস্তোরাঁ চালু করতে হয়েছিল মালিকপক্ষকে।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending