এক নাগাড়ে দুই মাস সচল না থাকলে পরে আর উবারের মাধ্যমে গাড়ি চালাতে পারবেন না চালকরা। উবার কর্তৃপক্ষ থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে চালকের অ্যাপস কিংবা অপেক্ষামান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে অনুরোধ। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন নিউইয়র্ক সিটির হাজারো উবার চালক।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দেশে যাওয়া কিংবা নানা কারনে সাময়িক বিরতির পর আবার উবার সার্ভিসে যাত্রী পরিবহনের জন্য অ্যাপস চালু করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাপে ঢোকা যাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন উবার চালকরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে লিফটের অ্যাপস চালাচ্ছেন অনেকে।
উবার কর্তৃপক্ষের হুট করে এমন সিদ্ধান্তে অবাক নিউইয়র্কে বাংলাদেশি উবার চালকরাও। তারা বলছেন, অন্যান্য কমিউনিটি তো আছেই, উবার চালিয়ে এ শহরে সংসারের খরচ যোগাচ্ছেন হাজারো বাংলাদেশিরা। অ্যাপস বন্ধ হওয়ায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা। গাড়ি চালাতে না পারায় ভীষণ বিপদে পড়েছেন। যাদের পেশাই হচ্ছে গাড়ি চালানো, তারা যদি দেশে বেড়াতে গিয়ে ফিরে এসে দেখেন অ্যাপস বন্ধ, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই বিরাট সংকটে পড়ে যান।
নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের লেবার অর্গান হিজার মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, দুই মাস বা তার বেশি দিন চালু না করার কারণে কিছু উবার ড্রাইভারের অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো স্থায়ী বন্ধ নয়, সাময়িক। আগে বন্ধ করত না, এখন করছে। তাদেরকে ওয়েটিংয়ে রাখে। এই ওয়েটিংয়ের মেয়াদ কত দিন, তা অনিশ্চিত। যখন উবার দেখে যে একজন ড্রাইভার উবারের অ্যাপস ব্যবহার করছেন না মাসের পর মাস, তখন তারা মনে করে তিনি রেগুলার উবার চালক নন। উবার চায় যারা রেগুলার গাড়ি চালান, তাদেরকে সুবিধা দিতে। যারা ৮-১২ ঘণ্টা গাড়ি চালান, তারা ফুল টাইম কিংবা তার বেশি, এসব ড্রাইভারই অনেক সময় যাত্রী পায় না। যাত্রীর অভাবে রাস্তায় ঘুরতে হয়। অনেক সময় ড্রাইভাররা রেগুলার চালানোর পরও অ্যাপসে ঢুকতে পারে না। তখন তাদের লোকসান হয়। তিনি বলেন, অনেক ড্রাইভার আছেন, যারা বছরে বেশ কয়েক মাস দেশে থাকেন। তাদের উবারের অ্যাপস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই যারা উবার চালান, তাদেরকে নিয়মিত অ্যাপস চালু রাখতে হবে। কারণ এখন ড্রাইভারের অভাব নেই।