অস্ট্রেলিয়ায় বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মুরগি ধ্বংস করে ফেলায় ডিমের ঘাটতিতে পড়েছে ম্যাকডনাল্ডস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সকালের নাস্তায় ‘ম্যাকমাফিন’ পরিবেশনের সময় দেড় ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ম্যাকডনাল্ডস ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘অনেক খুচরা বিক্রেতার মতো আমরাও বর্তমান শিল্পের চ্যালেঞ্জের কারণে সতর্কতার সঙ্গে ডিম সরবরাহ পরিচালনা করছি।’
তারা ফেসবুকে আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দুপুরের স্বাভাবিক সময়ের পরিবর্তে সকাল সাড়ে ১০টায় সকালের নাস্তা পরিবেশন বন্ধ করবে ম্যাকডনাল্ডস। ডিমের ঘাটতি নিয়ে ফাস্ট ফুড কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা আমাদের অস্ট্রেলিয়ান কৃষক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’
গত মে মাস থেকে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ১১টি পোল্ট্রি খামারে হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (এইচপিএআই) ধরণের বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই খামারগুলোর বেশিরভাগই ডিম উৎপাদন করত। এইচপিএআই বিশ্বব্যাপী পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বহুল পরিচিত বার্ড ফ্লুর এইচ-ফাইভ-এন-ওয়ান ধরণ নয়।
অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ডিম পাড়া মুরগির ১০ শতাংশেরও কম এতে আক্রান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি করেছে, তারা সফলভাবে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তবে অনেকে ডিম কিনে মজুদ করতে পারে এমন চিন্তা করে গ্রাহকরা একবারে কী পরিমাণ ডিম কিনতে পারবেন তার একটি সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অস্ট্রেলিয়ান এগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোয়ান ম্যাকমোনিস গত সপ্তাহে বলেন, ‘ডিম সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে, দিনের শেষের দিকে কিছু দোকানের সব ডিম বিক্রি হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তাদের আশ্বস্ত করা যেতে পারে যে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে কয়েক শ ডিম চাষীর তত্ত্বাবধানে এখনও ২০ মিলিয়নেরও বেশি মুরগি রয়েছে। তারা ডিম সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাবে।’
১৯৭৬ সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া মোট দশ বার এমন প্রাদুর্ভাব দেখল। এর প্রতিটিই নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।