ম্যাকডনাল্ডস খাবারের অতিরিক্ত দাম রাখছে এমন ভাইরাল টুইট ও মিডিয়া রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানির ওয়েবসাইটে বুধবার ম্যাকডনাল্ডসের অ্যামেরিকান অঞ্চলের প্রধান জো এরলিংগার বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে বিগ ম্যাকের গড় দাম দ্বিগুণ হয়েছে বলে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা।
ম্যাকডনাল্ডস জানিয়েছে, ২০১৯ সালে অ্যামেরিকায় বিগ ম্যাকের গড় দাম ছিল ৪.৩৯ ডলার এবং এখন এর দাম ৫.২৯ ডলার। যা ২০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরলিংগার বলেন, ‘এটি এমন একটি ব্র্যান্ড যারা প্রতি বছর অ্যামেরিকার জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশকে গর্বের সঙ্গে খাবার পরিবেশন করে। আমাদের দায়িত্ব এর প্রকৃত তথ্য নিশ্চিত করা।’
এরলিংগার স্বীকার করেছেন যে তিনি এবং অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি গত গ্রীষ্মে কানেকটিকাটে একটি বিগ ম্যাক মিল সম্পর্কে এক্স-এ পোস্ট দেখে হতাশ হয়েছিলেন। যার দাম ছিল ১৮ ডলার। তবে এই দামকে ‘ব্যতিক্রম’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অ্যামেরিকায় ম্যাকডনাল্ডসের ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিকানা এবং রেস্তোরাঁ পরিচালনা করে এবং তাদের নিজস্ব মূল্য নির্ধারণ করে। তবে কোম্পানিটি মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব হ্রাস করতে কঠোর পরিশ্রম করছে।
একটি স্যান্ডউইচ, ফ্রাই এবং কোমল পানীয় সহ একটি বিগ ম্যাক মিলের গড় মূল্য বর্তমানে ৯.২৯ ডলার।
তবে শিকাগোর বার্গার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কিছু পণ্যের দাম বিগ ম্যাকের চেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালে মাঝারি ফ্রাইয়ের গড় দাম ছিল ২.২৯ ডলার, তা বেড়ে এখন হয়েছে ৩.২৯ ডলার। এটি প্রায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি।
অ্যামেরিকা এবং অন্যান্য বড় বাজারের মুদ্রাস্ফীতিতে ক্লান্ত গ্রাহকরা এখন বাইরে খাবার কম খাচ্ছে। এতে বছরের প্রথম কোয়ার্টারে উল্লেখযোগ্য মন্দা দেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা নতুন করে নানা অফার দেয়ার চিন্তা করছে।
আগামী মাসে ম্যাকডনাল্ডস অ্যামেরিকায় ৫ ডলারের নতুন একটি মেন্যু চালু করবে বলে জানিয়েছে। এতে একটি স্যান্ডউইচ, চার টুকরো ম্যাকনাগেট, ছোট ফ্রাই এবং একটি ছোট কোমল পানীয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এরলিংগার বলেছেন, তিনি আশা করেন গ্রাহকরা কোম্পানির আসন্ন অফারগুলোকে ‘অর্থবহ’ মনে করবেন।
এরলিংগার আরও বলেন, ‘এটি স্পষ্ট যে আমাদের ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের একসঙ্গে খাবারের মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের উপর লক্ষ্য দিতে হবে।’