Connect with us

কমিউনিটি সংবাদ

ফোবানা সম্মেলনের ‘লোগো’ ব্যবহারে দু’পক্ষের সমঝোতা

Published

on

ফোবানা সম্মেলনের ‘লোগো’ ব্যবহারে দু’পক্ষের সমঝোতা

দীর্ঘ ৫ বছর পর এবার বিভক্ত ফোবানা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে, ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমোরিকা (ফোবানা) সম্মেলনের ‘ট্রেডমার্ক বা লোগো’ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে দুই গ্রুপ। সম্পর্কিত মামলা-মোকদ্দমা ও লোগো ব্যবহার সহ কতিপয় বিষয়ে এক মত হয়ে ফোবানা-এর একাংশের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবির আলমগির এবং অপরাংশের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি কাজি সাখাওয়াত হোসেন যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছে এরই মধ্যে।
যৌথ এক বিবৃতিতে, সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৮৭ সালে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির কয়েকটি সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়েই মূলত ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা(ফোবানা) পথচলা শুরু করে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পুরো নর্থ আমেরিকার সংগঠনগুলো ফোবানার সাথে যুক্ত হতে থাকে এবং একটা সময় ‘বাংলাদেশ সম্মেলন’ নাম পরিবর্তন করে ফোবানা নাম ধারণ করে সম্মেলনের আয়োজন শুরু হয়। ফোবানা সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকেন।
কয়েক বছর পর কিছু সদস্য সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য শুরু হলে কিছু সংগঠন বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা ভাবে সম্মেলনের আয়োজন করতে থাকেন। বিচ্ছিন্ন সংগঠনগুলোকে একত্রিত করে শুধু একটি সম্মেলন করার জন্য বছরের পর বছর আলোচনা অব্যাহত থাকলেও দীর্ঘদিন সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। অতঃপর ২০১৩ সালে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে হিউস্টন একোর্ড নামে একটি সমঝোতা হয় এবং বেশিরভাগ সংগঠনই একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রীভূত হয়, কিন্তু তারপরও একটি অংশ আলাদাই রয়ে যায় এবং সম্মেলন চালিয়ে যেতে থাকেন। আরো জানানো হয়, প্রতি বছরই দেখা যায় বিভিন্ন গ্রুপ ‘ফোবানা’ নাম ও লোগো ব্যবহার করে সম্মেলন করছেন। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এই বিভ্রান্তি দুর করতেই ফোবানার ‘ট্রেডমার্ক’ লোগোটির অবৈধ ব্যবহার বন্ধ ও লোগোটি নিবন্ধনকৃত করার জন্য বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেডমার্ক ট্রায়াল, আপিল বোর্ডে আর্জি পেশ করেন। যেখানে মোহাম্মদ হোসেন খান ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা ইনক্ ফোবানার ‘ট্রেডমার্ক’ লোগোটি ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদ হোসেন খান ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা ইঙ্ক ফোবানার লোগো ব্যবহারের একক অনুমতি ও একক নিবন্ধন যে কোন সংগঠনকে এককভাবে না দেয়াড় জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করেন। গত কয়েক বছর ধারে মামলাটি চলমান আছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় বারবার উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি সমাজের স্বার্থ সংলিপ্ত বিষয় ও ফোবানার মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতির শেকড় এ দেশের মাটিতে প্রথিত করা ও পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেওয়ার বিষয়াদি উঠে আসে। আলোচনায় উভয় পক্ষই অনুধাবন করতে পারে নিজেদের সময় শক্তি ও অর্থ, মামলা পরিচালনায় ব্যয় না করে কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে বিনিয়োগ করা উচিত সেই অনুযায়ী সম্প্রতি সমঝোতার ভিত্তিতে মামলাটি নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত হয় এবং দুই পক্ষ আলোচনার ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। যেখানে উঠে আসে , বর্তমানে মোহাম্মদ আলমগির এবং আবির আলমগীরের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা, ফোবানার নিবন্ধনকৃত ‘ট্রেডমার্ক সম্বলিত’ লোগোটিই ব্যবহার করবেন এবং ট্রেডমার্ক এর মালিক থাকবেন। একই সাথে . মোহাম্মদ হোসেন খান, ফেডারেশন অফ বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকা ইঙ্ক আদালতে দাখিলকৃত তাদের দরখাস্ত আগামী পনেরো (১৫) দিনের মধ্যে তুলে নিবেন। অন্যদিকে বর্তমানে শাহ নাওয়াজ ও কাজী আজমের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনস ইঙ্ক নর্থ আমেরিকা ইনন ‘ফোবানা’ নাম ব্যবহার করতে পারবেন এবং তাদের নিজস্ব পৃথক লোগো ব্যবহার করবেন। তবে অন্য যে কোন সংগঠন, গোষ্ঠী অথবা সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কৃত ব্যক্তিবর্গ ‘ফোবানা’ নাম বা লোগো ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রয়োজনে উভয় পক্ষই যৌথভাবে যেকোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের মোকাবিলায় কাজ করবেন। এই বিবৃতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে , ফোবানা সম্মেলন যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে শুরু হয়েছিল সেভাবে আবারো সহসাই ঐক্যবদ্ধ একটি প্লাটফর্মে ফিরে আসবে এবং বহিঃবিশ্বে সর্ববৃহৎ প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠন হিসেবে, উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি সমাজের কল্যাণে একযোগে কাজ করবে ।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending