নিউইয়র্ক
ব্রুকলিন জাদুঘর দখল ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঝুলছে ব্যানার
Published
4 months agoon
নিউইয়র্কে ব্রুকলিন জাদুঘরের আংশিক দখল করে নিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ দখলের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে জাদুঘরের প্রধান প্রবেশপথে ফিলিস্তিনের সমর্থনে ব্যানার টানিয়ে দেন তাঁরা। তাতে লেখা ছিল, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো, গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকো।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৩১ মে শুক্রবার, শত শত বিক্ষোভকারী ব্রুকলিনে মিছিল করছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের অনেকেই ব্রুকলিন জাদুঘরে ঢুকে পড়েন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও, বিক্ষোভকারীরা জাদুঘরটির অধিকাংশ লবি দখল করে নিতে সক্ষম হন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র তাঁদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেননি।
এদিকে, ব্রুকলিন আর্ট মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিশৃঙ্খলার কারণে এক ঘণ্টা আগেই জাদুঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের একজন জাদুঘরের বহিরাঙ্গনে থাকা ভাস্কর্যে স্প্রে-পেইন্ট করেন। ভবনের ভেতর ও বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের।
জাদুঘরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আকস্মিক এ বিক্ষোভ আর সংঘর্ষে প্লাজায় থাকা নতুন ও পুরোনো অনেক শিল্পকর্মের ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তাকর্মীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানিও করেছেন তাঁরা।‘ এদিকে, ব্রুকলিন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ভবন, শিল্পকর্ম ও কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জাদুঘর এক ঘণ্টা আগেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে ভবনটি ছেড়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
‘উইদিন আওয়ার লাইফটাইম’ নামের ফিলিস্তিনপন্থী একটি সংগঠন ‘গাজার জন্য ব্রুকলিন জাদুঘর দখল’ করার আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীদের প্রতি। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের বিনিয়োগ ও এমন অর্থায়ন থেকে কর্তৃপক্ষকে বিচ্ছিন্ন রাখতে বাধ্য করতেই জাদুঘরটি দখল করেন তাঁদের কর্মীরা। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে; বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ব্রুকলিনে ওই বিক্ষোভ হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এ যাবৎ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, গাজার বিভিন্ন অংশে দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ায় এ উপত্যকায় ১০ লাখের বেশি মানুষ এখন ক্ষুধায় ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতির সম্মুখীন।