বিগত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমনের অভিজ্ঞতা যাত্রীদের কাছে রীতিমতো দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বিমান যোগে ভ্রমনের নানা বিড়ম্বনা নিয়ে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে অসংখ্য অভিযোগও জমা পড়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন (ডিওটি)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে , ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিমান পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরমে। আর এ কারনে বেড়েছে অভিযোগ জমা দেয়ার পাল্লা। ২০২৩ সালে প্রায় ৯৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্যদিকে, আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ৮৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল। এ বিষয়ে পরিবহন বিভাগ জানায়, অনেক বেশি অভিযোগ জমা থাকায় বাছাইয়ের ভিত্তিতে এগুলো পর্যালোচনা করতে পুরো জুলাই পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্স ব্যবস্থাপনার ওপর গ্রাহকদের অভিযোগ আসতে থাকে। এসব অভিযোগের মধ্যে করোন মহামারী চলাকালীন বিমান ভ্রমণ বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে এয়ারলাইনসগুলো গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে বেশি সময় নেয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। ফ্লাইট অ্যাওয়্যার এর তথ্যানুসারে দেখা যায়, ২০২২ সালে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটে যা মোট সংখ্যার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ গত বছর (২০২৩) এয়ারলাইনসগুলো এর চেয়েও অনেক কম ফ্লাইট বাতিলের পরও পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টি ফ্লাইট বাতিল হয় ২০২৩ সালে। যা মোট বাতিলকৃত ফ্লাইটের প্রায় ২১ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৩ সালে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি মার্কিন এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে উঠে আসে নানা অভিযোগ। প্রায় এক চতুর্থাংশ অভিযোগ জমা পড়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সেবার মান নিয়ে। এমনকি প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সাথেও যাত্রীসেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নেতিবাচক আচরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে। এসব নিম্নমানের যাত্রীসেবার বিষয়ে অবশ্য মার্কিন পরিবহন বিভাগ বলছে, তারা অভিযোগ গ্রহণের পদ্ধতি আধুনিকীকরণ করেছে। ফলে এজেন্সিগুলোকে তদারকি করা সহজ হবে। অন্যদিকে এই শিল্পের তত্ত্বাবধানের জন্যও বিষয়টি আরও ভালোভাবে কাজ করতে সহায়ক হবে। তবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে মোট কতোগুলো অভিযোগ পরিবহন বিভাগ গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
