নিউইয়র্ক
১৭ জুলাই নিউইয়র্কের উবার-লিফট চালকদের রোড মার্চ
Published
2 months agoon
নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উবার-লিফট পেশায় নিয়োজিত। সিটিতে যারা গাড়ি চালান তাদের বেশিরভাগ জানেন না ইউটিলাইজেশন রেট কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে। টিএলসির নিয়ম হচ্ছে ইউটিলাইজেশন রেট করা। এখন সেটি দেয়া হচ্ছে না বলে আগামী দিনগুলোতে গাড়ি চালকদের আয় আরো কমবে। ফলে অনেক ড্রাইভার সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন। এ কারণে আগামী ১৭ জুলাই উবার-লিফট গাড়ি চালকরা রোড মার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালাইয়েন্সের উদ্যোগে এই রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিটি হলের সামনে থেকে উবার প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালাইয়েন্সের লেবার অর্গানাইজার মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, আমাদের কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়, যারা গাড়ি চালান তারা নেতৃত্ব দেন। তারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, সংগঠনের শীর্ষে আছেন। বাংলাদেশ সোসাইটিতেও একাধিক নেতা আছেন। তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে এই গাড়ি চালকদের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। কারণ সব ড্রাইভার জানেন না কাজ করার জন্য তাদের কী কী অধিকার আছে। আমাদের কমিউনিটির ড্রাইভাররা যদি জানতে পারেন তাদের করণীয় কী এবং তাদের কী কী অধিকার আছে—তাহলে আরোও বেশি সুবিধা নিতে পারবেন। পাশাপাশি নিউইয়র্কের অর্থনীতিতে তাদের অবদান কত সেটি সঠিকভাবে তুলে ধরা যাচ্ছে না।
নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালাইয়েন্স জানায়, কোভিড-১৯ এর সময় অনেক গাড়ি চালক যাত্রী পেতেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যেত যাত্রী পাওয়ার জন্য। তখন মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করেছেন। সে সময় নিয়ম করা হয়, একজন চালক যদি যাত্রী না পায় তাহলে তিনি ৫৮ শতাংশ সময় লাগাতে পারবেন। ওই সময়ের মধ্যে যাত্রী না পেলে উবার এ জন্য অর্থ পরিশোধ করবে। কিন্তু এখন যথাযথ এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনেক গাড়ি এখনো যাত্রী পাচ্ছে না। রাস্তায় সময় খরচ করছে। ফলে উবার বা লিফট এখন লকআউট করে দিচ্ছে। চাইলে একজন ড্রাইভার তার খুশি মতো অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারছেন না। এ কারণে ড্রাইভারের কমপক্ষে সপ্তাহে ১শ ডলার ক্ষতি হচ্ছে বলে ও জানানো হয়। এ কারণে এই রোড মার্চের সিদ্ধান্ত। যাবে এসব প্রতিষ্ঠান বুঝতে পারে যে ড্রাইভাররা আন্দোলন ও ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। উবারের পাশাপাশি লিফটও বিষয়টি বুঝবে। তারা এটা বুঝতে পারবে ড্রাইভাররা আন্দোলনে গেলে কী পরিস্থিতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এবারের দাবি হচ্ছে ইউটিলাইজেশন রুলটি যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। গাড়ি যেন লকআউট করা না হয়। পাশাপাশি ড্রাইভারদের পে বাড়াতে হবে। টিএলসি গাড়ি চালকদের জন্য ইউটিলাইজেশনের সময় কী ধরনের পেমেন্ট দিতে হবে, তা ঠিক করে নিয়েছে। এটা প্রকৃতপক্ষে কত হবে, সেটা ঠিক করতে হবে প্রতি দুই বছর পরপর। কোনো ড্রাইভারের যাতে আয় না কমে যায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট যে-সব দাবিদাওয়া রয়েছে, তাও রোড মার্চে তুলে ধরা হবে।