নিউইয়র্কে অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সেবা উবার, লিফটের যারা চালক তাদের জন্য সুখরব। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত যারা উবার এবং ২০১৫ সালের মে মাস থেকে ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত লিফট চালিয়েছেন সে সময় তাদের কাছ থেকে যে কমিশন বাবদ কিছু অর্থ বেশি কেটে নিয়েছিল প্রতিষ্ঠান দুটি সে অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছেন। যার পরিমাণ ৩২৮ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থ যারা ফেরত পাবেন তার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। আবেদনের শেষ তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৯ জুলাই । নিউইয়র্ক এটর্নী জেনারেল ওই সময়ে কাজ করা ড্রাইভারদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে চেষ্টা করেন। সেই হিসাবে তিনি সাফল্য পান। তখন থেকে এই অর্থ যে সব ড্রাইভার ফেরত পাওয়ার যোগ্য তারা আবেদন করার পর সেগুলো পরিক্ষা নিরিক্ষা করে অর্থ ফেরত দিবে। কার ফেরত পাওয়ার পরিমাণ কত সেটা হিসাব নিকাশ করেই তা ফেরত পাবেন। অবশ্য আবেদন করার জন্য অনেক বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই বলে জানা গেছে। যারা এই অর্থ ফেরত পাবার যোগ্য তাদের কাছে ক্লেম আইডি আছে। ওই ক্লেম আইডি দিয়ে আবেদন শুরু করতে হবে। লাস্ট নেম দিতে হবে। ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। ক্লেম আইডি দিয়ে প্রবেশ করার পর লাস্ট নাম দিলে প্রোফাইল পাওয়া যাবে। প্রোইফাইলে কারো নাম পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কেউ তার ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে সেটি করতে পারবেন। কারণ অনেক মানুষ আছে যে তারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। অনেকেই বাফেলোতে বা অন্য কোন জায়গায় চলে গেছেন এখন তিনি যে ঠিকানায় আছেন নতুন ঠিকানা দিতে হবে। সোশ্যাল সিকিউরিটির শেষ চার ডিজিট লাগবে। তাকে আবেদনে উল্লেখ করতে হবে তিনি কিভাবে তার পেমেন্ট নিতে চান। আবেদনকারী যেভাবে তার পেমেন্ট পাবেন সেটি উল্লেখ করতে হবে। এ বিষয়ে, নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়াকার্স এ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, এখনও আবেদন যারা করেননি তাদেরকে আবেদন করার জন্য সহায়তা করা হচ্ছে। ২৯ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এদিকে, নিয়ম ছিল ওই সময়ে উবারও লিফট এর বেলায় একজন ড্রাইভার যে কাজ করেন ওই কাজ করার পর তারা যে পরিমাণ অর্থ আয় করেছে, উবার ও লিফট তাদের কমিশন কাটার আগে তারা ড্রাইভারদের পেমেন্ট দিবেন। ট্যাক্স দিবেন এরপর তারা কমিশন কাটবেন। সেটি না হওয়ার কারণে পরে ওয়েজ থেপ্ট এর অভিযোগ উঠে। নির্দিষ্ট সময়ে যারা গাড়ি চালানোর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ওই সময়ের মধ্যে যাদের অর্থ আরো বেশি পাওয়ার কথা ছিল, তারা পাননি সেই সব অর্থ আদায় করার জন্য উদ্যোগ নেয়। এরপর তার অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকেই আবেদন করেছেন।