নিউইয়র্ক
বিএনপি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না

Published
10 months agoon

নিউইয়র্কে বিপ্লব বড়ুয়া
বিএনপি আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
২ মে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হওয়ার পর এটি ছিল প্রথম কোনো অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি একাধিক মিডিয়া সরাসরি সম্প্রচার করে। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকে ১০%, ২০%, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০০% এগিয়ে গিয়েছে। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি কেউ আর থামিয়ে রাখতে পারবে না। বিএনপির শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি বাংলা ভাই সৃষ্টি করে সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ধরে ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। বিএনপি সরকারের সময় অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে, তাদেরকে আবার ইনডেমনিটি দিয়ে রক্ষা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে এখন চিরতরের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছে। সারা বাংলাদেশে বিএনপি বলতে কিছু নেই। তারা বাংলাদেশে কিছু করতে না পেরে প্রবাসে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রবাসে থাকা সবাইকে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
বিপ্লব বড়ুয়া যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কোথায় তাদের মানবতা? তিনি বলেন, নিউইয়র্কে দুজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, কোথায় তাদের আইনশৃঙ্খলা এবং মানবতা? তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারের সংজ্ঞা আর বিশ্বের সব দেশের মানবাধিকারের সংজ্ঞা একই। এটা কোনো দেশের জন্য ভিন্ন হতে পারে না।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি দেশে আরও বেশি বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণ করার আহ্বান জানান। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিনিয়োগের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ২১ আগস্ট যেদিন গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, সেদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দেব। দেশে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনারা প্রবাসে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যেভাবে আমাদের অভিবাদন জানালেন, সম্মান জানালেন, এ জন্য আমরা অপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনারা এই ঐক্য ধরে রেখেই এখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করবেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কথা আমাদের নেত্রীকে বলব। তিনি আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন ইভেন্টে আমি যোগ দিচ্ছি, সেখানে সবাই শেখ হাসিনা ও তার স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ের প্রশংসা করছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন। তার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। প্রবাসে আপনারা যারা আছেন, তারা দেশের উন্নয়নে বেশি বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণ করবেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. মাসুদুল হাসান, সামসুদ্দিন আজাদ, লুৎফুল করিম, মো. সোলেমান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, নুরুল আমিন বাবু, দুরুদ মিয়া রনেল, তরিকুল হায়দার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হামিদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ বকতিয়ার, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক শরিফ কামরুল হিরা, শ্রম সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর খান, প্রবাস কল্যাণ সম্পাদক নাফিকুর রহমান তুরান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক আলী হোসেন গজনবী, উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক, মানবাধিকার-বিষয়ক সম্পাদক মেজবা আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাহানারা রহমান, নুরুল আফছার সেন্টু, ছাদেকুল বদিউজ্জামান পান্না, নাহিদ রেজা জনি শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, মো. হুমায়ুন কবির, হারুন অর রশিদ, সাহাদত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন স্বপন, মেহরাজ ফাহমী, রফিকুল ইসলাম, এবাদুল হক, শাহ আল শফি আনসারী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহানাজ মমতাজ, পেনসিলভানিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের, কানেকটিকাট স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিবাদের উত্থান-পতন

আন্তর্জাতিক আইন: যেন শুধু ক্ষমতাবানদের স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার

মিশিগানে আল-আকসা সুপারমার্কেটের গ্র্যান্ড ওপেনিং সহস্রাধিক ক্রেতার ঢল

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার ৬২৭ ভাগ বেড়েছে
