Connect with us

নিউইয়র্ক

সরকারকে অস্থিতিশীল করে দুর্নীতি

Published

on

ম্যাথু মিলার

আজিজ-বেনজীর প্রশ্নে ম্যাথু মিলার

যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাঁধা, উন্নয়ন ব্যাহত, সরকারকে অস্থিতিশীল ও গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজির আহমেদকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গেল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন। যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশে অভিযুক্ত এই দুই প্রধান শীর্ষ ব্যক্তির কোনো সম্পদ থাকার বিষয়টি মার্কিন কোনো সংস্থা জানতে পেরেছে কিনা এবং সম্পদ থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে তা জব্দ করেছে কিনা? ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের কারণ কি? এই ব্যক্তিরা অবাধে যেকোনো কিছু বা সবকিছু করার সুযোগ পাচ্ছেন, সে জন্য কি যুক্তরাষ্ট্র সরকার, বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব জানান।
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘ প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলব, নতুন করে ঘোষণা দেওয়ার মতো কিছু আমার কাছে নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলব, আপনি যে-সব অভিযোগ ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা বললেন, সেসব বিষয় সম্পর্কে আমি অবগত। আমরা এটা স্পষ্ট বলে আসছি যে আমরা বিশ্বাস করি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা, উন্নয়ন ব্যাহত, সরকারকে অস্থিতিশীল এবং গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসন শুরু থেকেই দুর্নীতি দমনকে একটি প্রধান জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ে আমরা এই কৌশল কীভাবে বাস্তবায়ন করব, তা তুলে ধরেছি। কিন্তু নতুন করে ঘোষণা দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছু নেই। আপনিও জানেন, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) কখনো নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নিলে কখনো আগে থেকে সে সম্পর্কে কিছু জানাই না।’

ব্রিফিংয়ে ম্যাথু মিলারকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জার্মানভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে ও স্যুডডয়চে সাইটুং এবং সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশের র্যাপিট অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন–এর সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়মিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হচ্ছে। যেহেতু মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে– তাই এর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘ মিশনগুলোতে মোতায়েন নিয়ে আপনি কতটা উদ্বিগ্ন? কেননা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের তহবিলের প্রায় ২৭ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র দেয় তার করদাতাদের দেওয়া অর্থ থেকে।

এর জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে অবগত। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এবং এটা আবশ্যক যে শান্তিরক্ষীরা মানবাধিকারের সুরক্ষা দেবেন। জাতিসংঘের নীতি অনুযায়ী, যে-সব দেশ সেনা বা পুলিশ পাঠায়, সেসব দেশের ওপরই জাতিসংঘ নির্ভর করে যে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন অথবা আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাবিষয়ক আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত সেনা বা পুলিশ সদস্যকে পাঠাচ্ছে না।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending