নিউইয়র্ক সিটির প্রায় এক মিলিয়ন বাসিন্দা সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা হারাতে যাচ্ছেন। একটি ফেডারেল কর্মসূচির মাধ্যমে সেই সুযোগ পেতেন নিউইয়র্কাররা। কিন্তু সেই সুবিধা শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু নিউইয়র্ক নয়, আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটের ২৩ মিলিয়ন পরিবার সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারের সুযোগ আর পাবেন না। তবে ফেডারেল সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের সুবিধা সবচেয়ে বেশি পেয়েছে নিউইয়র্ক সিটি।
ফেডারেল সুবিধার কারণে গড়ে ৩০ ডলার সাশ্রয়ী হতো পরিবারের। কিন্তু ফেডারেল তহবিল অব্যাহত রাখতে কোনো রেজুলিউশন পাস করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। রিপাবলিকানদের কারণে ফেডারেল তহবিল অব্যাহত রাখার প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস করা যায়নি বলে দাবি করেন কংগ্রেসউইমেন ইভেট ক্লার্ক। তিনি বলেন, ফেডারেল ফান্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য অনেকাংশে কমে আসে আমেরিকায়। কিন্তু আবারো ইন্টারনেট চালাতে আমেরিকানদের একটি বড় অংশের পকেট থেকে ডলার বেশি গুনতে হবে।
সেন্টার ফর আরবান ফিউচারের পলিসি ডিরেক্টর এলি ডরকিন বলেন, ফেডারেল ফান্ডের কারণে সবস্তরে ইন্টারনেট সুবিধা পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে ফেডারেল প্রশাসন।
ফেডারেল ইন্টারনেট সুবিধা সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে আশ্রয়প্রার্থীদের ঢল থাকা নিউইয়র্ক সিটি। এ সুবিধার আওতায় ছিলো ব্রঙ্কসের ৪৪ শতাংশ বাড়ি। ব্রুকলিনের ২৫ শতাংশ। কুইন্সের ২৫ শতাংশ। ম্যানহাটনের ২২ শতাংশ। স্টাটেন আইল্যান্ডের ২০ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা হারিয়ে দুশ্চিন্তায় সুবিধা ভোগ করা অনেক নিউইয়র্কার।
লং আইল্যান্ড সিটির বাসিন্দারা বলেন, সকল শিশুর জন্য ইন্টারনেট সুবিধা প্রয়োজন। ফেডারেল অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অনেকেই নতুন করে বাড়তি ডলার খরচের ভার বহন করতে পারবেন না।
এ পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস বলেছেন, বিগ অ্যাপল কানেক্ট কর্মসূচি সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করছে তার প্রশাসন। বিগ অ্যাপল কানেক্ট কর্মসূচির মাধ্যমে পাবলিক হাউজিং বাসিন্দারা বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ সুবিধা গ্রহণ করে ইন্টারনেটের বাড়তি ডলার খাদ্য এবং শিশুদের যত্মে নিউইয়র্কাররা ব্যয় করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র।