শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিউইয়র্কের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খুব শিঘ্রই এই সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি হতে পারে। এর আগে গত বছর ফ্লোরিডায় পাবলিক বিদ্যালয়গুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধে ঘোষণা করা হয়।
এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অত্যাধিক মাত্রায় স্মার্টফোনের প্রতি আশক্ত হয়ে আছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গেইমস নিয়ে সার্বক্ষণিক পড়ে থাকে। এমনটা হলে কি তাদের পক্ষে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা সম্ভব? নিশ্চই না!
তিনি বলেন, এভাবে স্মার্টফোন আশক্তি যেমন শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে তেমনি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই আমরা পরিকল্পনা করছি রাজ্যের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেবল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে তেমন ফোন নিষিদ্ধের কথা ভাবছি। অভিভাবকরা চাইলে বাচ্চাদের নরমাল ফোন দিতে পারবেন। যার মাধ্যমে তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার বিলটি এই বছরের শেষের দিকে জমা দেওয়া যেতে পারে। আর আগামী বছরের আইনসভা অধিবেশনে ভোটাভুটিতে যেতে পারে এই বিল।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। যার মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ, আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা এবং আত্ম-ক্ষতির ঘটনা বেশি। শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ‘ভাইরাল চ্যালেঞ্জে’ আসক্ত হয়ে বিপথে যাচ্ছেন।
তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন বন্ধ করা যায় এবং বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে দূরে রাখা যায় তাহলে ঝুঁকি কিছুটা কমবে। সেই সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফ্লোরিডার পাবলিক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সেলফোন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জেলা ওয়াই-ফাইতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস ব্লক করা হয়। কিছু জেলা আরও এগিয়ে পুরো স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করে।