শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিউইয়র্ক স্টেটের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হকুল। দ্রুতই এই সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি হতে পারে।
এসব বিষয় নিয়ে নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট গভর্নর হকুল বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীরা অত্যাধিক মাত্রায় স্মার্টফোনের প্রতি আশক্ত হয়ে আছে। তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গেইমস নিয়ে সার্বক্ষণিক পড়ে থাকতে দেখা যায়, বিশেষ করে স্কুল চলাকালীন সময়ে এটি খুবই ক্ষতিকর। এর কারণে তাদের পক্ষে পড়াশোনায় পর্যাপ্ত মনোযোগ দেয়া নিশ্চয়ই সম্ভব না।
হকুল আরও বলেন, এভাবে স্মার্টফোন আশক্তি যেমন শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে, তেমনি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুষ্ঠু বিকাশের ওপরও এটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই স্টেটের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছেন তারা।
দুই সন্তানের জননী এ গভর্নর আরও বলেন যে, কেবল ইন্টারনেট সংযোগসমৃদ্ধ স্মার্টফোনগুলোই নিষিদ্ধের কথা ভাবছে প্রশাসন। অভিভাবকরা চাইলে সন্তানদের ইন্টারনেটবিহীন ফোন দিতে পারবেন। যার মাধ্যমে তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে।
স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার বিলটি এই বছরের শেষের দিকে জমা দেওয়া হতে পারে। আর আগামী বছরের স্টেট আইনসভা অধিবেশনে ভোটে যেতে পারে এই বিল।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যাধিক ব্যবহার শিশু এবং তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। যার মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ, আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা এবং আত্মবিধ্বংসি ঘটনা বেশি। শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং নানারকম ‘ভাইরাল চ্যালেঞ্জে’-এ আসক্ত হয়ে বিপথে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি স্কুলে স্মার্টফোন বন্ধ করা যায় এবং বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে দূরে রাখা যায়, তাহলে ঝুঁকি কিছুটা কমবে। সেই সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ফ্লোরিডার পাবলিক স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সেলফোন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ডিস্ট্রিক্ট ওয়াই-ফাইতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস ব্লক করা হয়। কিছু ডিস্ট্রিক্টে আরও এগিয়ে পুরো স্কুলেই ফোন নিষিদ্ধ করা হয়।