জো বাইডেনের সাধারণ ক্ষমার পরিকল্পনাটি ছিঁড়ে ফেলবেন ট্রাম্প
জো বাইডেনের নতুন করে নেয়া ৫ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অভিবাসন আদেশ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি পুনঃনির্বাচিত হব, জো বাইডেনের সাধারণ ক্ষমার পরিকল্পনাটি ছিঁড়ে ফেলা হবে এবং ছুঁড়ে ফেলা হবে।’ উইসকনসিনের রেসিনে মঙ্গলবারের এক নির্বাচনি সমাবেশে এমনটা জানান তিনি। এসময়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উন্নয়নে নিজেকে-ই সেরা প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। উইসকনসিনের রেসিনে মঙ্গলবারের এক নির্বাচনি সমাবেশে এমন এক স্থানে এ দাবি জানালেন যেখানে প্রায় ছয় বছর আগে স্থানীয় একটি কারখানার ভিত্তি উদ্ধোধন করেন তিনি এবং যা সাবেক প্রেসিডেন্টের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৮ সালে রেসিনে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকার সময় ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রযুক্তি কোম্পানি ফক্সকনের টেলিভিশন উৎপাদন কারখানার ভিত্তি উদ্ধোধন করেছিলেন। ওই সময় ট্রাম্প ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা এ কারখানার মাধ্যমে ১৩ হাজার অ্যামেরিকানের জন্য নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ফক্সকন এখন ১৩ হাজারের বদলে মাত্র ১,৫০০ পদে নতুন চাকরির কথা বলছে। ফক্সকন এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধের সাড়া দেয়নি। তবে, কোম্পানিটি আগে বলেছে যে তাদের কারখানার পণ্যগুলোর প্রত্যাশিত চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছে। ট্রাম্প মঙ্গলবার বৃহত্তর শ্রমজীবীদের সমাবেশে ফক্সকনের কথা উল্লেখ করার পরিবর্তে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারের দিকটি তুলে ধরে বাইডেন প্রশাসনের নিন্দা করেছেন। এ সময়, ট্রাম্প বলেন, ‘কেউ আর বাড়ি কিনতে পারবে না। মার্কিনীদের স্বপ্ন মারা গেছে। সুদের হার বাড়ির ছাদের মত উচ্চতায় চলে গেছে।’ এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রচার ক্যাম্পেইন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং মজুরি বাড়াতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দোষারোপ করেছে। ট্রাম্পের প্রচার ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র আনা কেলি বলেছেন, ‘জো বাইডেনের নীতিগুলো উচ্চ মূল্য, নিম্ন মজুরি এবং অ্যামেরিকান পরিবারগুলোর জন্য একটি স্থবির উৎপাদন শিল্পের দিকে পরিচালিত করেছে।’ অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচার ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র আম্মার মুসা বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) তার ভুয়া ফক্সকন ইস্যু বা উইসকনসিনে তার ব্যর্থ কয়েক হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কথা বলতে না চাওয়ার বিষয়ে আমরা বিস্মিত হয়নি।’