Connect with us

নিউইয়র্ক

এক সপ্তাহ আগেই বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পকে নিশানা করার সময় এসেছে

Published

on

এক সপ্তাহ আগেই বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পকে নিশানা করার সময় এসেছে

হত্যাচেষ্টা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর একটু এদিক-ওদিক হলেই কান ছুঁয়ে যাওয়া বুলেটে প্রাণ যেতে পারতো এ রিপাবলিকান নেতার। তবে ট্রাম্প বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন তার একজন সমর্থক, আহত হয়েছেন আরও একজন। ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হামলাকারী সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রিপাবলিকানদের নির্বাচনী সমাবেশে হামলার এই ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সমর্থকরা। হামলার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের দায়িত্বে অবহেলা এবং বাইডেন শিবিরের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন তারা।
ট্রাম্পপন্থিদের দাবি, জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে থাকা বাইডেন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।
যেমন- গত সপ্তাহেই অর্থদাতাদের সঙ্গে একান্ত ফোনকলে ডেমোক্র্যাট নেতা বলেছিলেন, ট্রাম্পকে নিশানা করার সময় এসেছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুসারে, গত সোমবার (৮ জুলাই) ওই ফোনকলে বাইডেন বলেন, আমার মাত্র একটি কাজ, সেটি হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানো। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে, এর জন্য আমিই সেরা ব্যক্তি। সুতরাং, আমাদের বিতর্ক নিয়ে কথা শেষ। এখন সময় ট্রাম্পকে ‘বুলস আই’-এ রাখার।
তীর, গুলি বা ডার্ট নিক্ষেপের জন্য গোলাকার লক্ষ্যবস্তুকে ‘বুলস আই’ বলা হয়। কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাতের সুবিধার্থে এর ভেতরে বিভিন্ন আকারের রঙিন বৃত্ত আঁকা থাকে।
গত মাসে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের মুখে তাকে এতটাই অসহায় ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল যে, পরে বাইডেনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে জোরালো দাবি উঠেছে, তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক।
অবশ্য এর আগে থেকেই প্রায় সবগুলো জরিপ বলছিল, নির্বাচনে ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা বেশি। জনসমর্থনের দিক থেকে বাইডেনের চেয়ে অন্তত চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন এ রিপাবলিকান নেতা।
হামলার পর ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা আরও অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending