আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম কট্টর সমালোচক সাংবাদিক শাহেদ আলম। দীর্ঘদিন ধরেই পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। তবে কয়েক বছর ধরে তার কাছে বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিলো না। কারণ নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশি কনস্যুলেট তাকে পাসপোর্ট দেবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দেয়। শাহেদ আলম নিউইয়র্ক সময়কে জানান, দুই বছর আগে তিনি বাংলাদেশ কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন পাসপোর্টের আবেদন করতে। সেখান থেকে তাকে পাসপোর্টের আবেদনই করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন কনসাল জেনারেল। তবে কেন তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হবে না তার কোন ব্যাখ্যা অবশ্য দেননি তারা। শাহেদ আলম নিউইয়র্ক সময়কে বলেন, তিনি পাসপোর্ট না পাওয়ায় দেশে আসতে পারেননি, তার অসুস্থ মাকে দেখতে আসতে পারেননি বলেও আক্ষেপ কারেন। অবশেষে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পাসপোর্টের জন্য নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে যান। সেখান থেকে তাকে জানানো হয় দ্রুতই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন তিনি।
দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করা নাজমুল হুদার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন নিউইয়র্ক প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ, যে কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বা সভাতে গেলে আওয়ামী লীগের বন্দনা করতেন। এ কারণে সরকার পরনের পর কনস্যুলেট অফিসে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ জনতারা। অভিযোগ আছে শুধু শাহেদ আলমই নয় সাংবাদিক মনির হায়দারকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়নি সেই সময়।
সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত শাহেদ আলম৷ বাংলা ইনফোটিউব নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তার। দেশে থাকতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এ কর্মরত ছিলেন৷