কমিউনিটি সংবাদ
অনাবাসী দম্পতিদের জন্য গ্রিনকার্ডের আবেদন শুরু
Published
5 months agoon
চলতি বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত ‘প্যারোল ইন প্লেস’-এর নীতির আওতায় ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস আবেদন গ্রহণ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। অভিবাসী স্বামী/স্ত্রী, যারা এখনো আইনগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন না, তারা ‘প্যারোল ইন প্লেস’ নামে পরিচিত।
এই নীতির আওতায় ওই দম্পতিরা এবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পাবেন এবং গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অনুমান করছে যে, প্রায় ৫ লাখ অনিবাসী স্বামী/স্ত্রী এবং প্রায় ৫০ হাজার শিশু এ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য হতে পারে।
গত ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ফেডারেল রেজিস্ট্রার নোটিশের মাধ্যমে ‘কিপিং ফ্যামিলিস টুগেদার’ নামে একটি প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার আওতায় নির্দিষ্ট কিছু অনিবাসী স্বামী/স্ত্রী এবং সৎ-সন্তানদের জন্য সুবিধা প্রদান করা হবে, যাদের স্বামী/স্ত্রী মার্কিন নাগরিক। এর কারন হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আমেরিকান সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা, মার্কিন সরকারের সীমিত সম্পদের ওপর চাপ কমানো এবং জাতীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা এবং সীমান্ত নিরাপত্তার উদ্দেশ্যগুলো আরো সুদৃঢ় করা।
অনিবাসী স্বামী/স্ত্রীরা, যাদের অনেকেই মা-বাবা, প্রায়ই আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থার অযাচিত বাধাগুলোর কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে বাস করেন। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মার্কিন পরিবারগুলোকে একত্রে রাখা হবে এবং যারা আইনতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করার যোগ্য, তাদের জন্য অযাচিত বাধাগুলো দূর করা হবে’। বলেছেন ইউএস সিটিজেনশিপ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের পরিচালক ঊর এম জাড্ডো। এ প্রক্রিয়া অভিবাসন ব্যবস্থায় আরো দক্ষতা তৈরি করবে, কার্যকর স্ক্রিনিং ও যাচাইকরণ পরিচালনা করবে এবং এমন অনিবাসীদের ওপর ফোকাস করবে, যারা আমেরিকান সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং সেগুলোতে অবদান রেখেছে।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, আবেদনকারীদের অবশ্যই আই-১৩১এফ ফরম, অনলাইনেই মাধ্যমে জমা দিতে হবে এবং একটি মাই ইউএসসিআইএস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। শুরুতে ফাইলিং ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮০ ডলার। তবে আই- ১৩১এফ ফরমের জন্য ফি মওকুফের আবেদন গ্রহণ করা হবে না। যোগ্য বিবেচিত হওয়ার জন্য, অনিবাসী স্বামী/স্ত্রীদের অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়াই উপস্থিত থাকতে হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে হচ্ছে, ২০১৪ সালের ১৭ জুন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। ২০২৪ সালের ১৭ জুনের আগে বৈধভাবে মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে বিবাহিত হতে হবে। অযোগ্য অপরাধমূলক ইতিহাস থাকতে পারবে না এবং জননিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা বা সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হওয়া যাবে না। বায়োমেট্রিকস জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ও জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে । একই ভাবে অনিবাসী সৎ-সন্তানদের অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। ২০২৪ সালের ১৭ জুন তারিখে ২১ বছরের কম বয়সী এবং অবিবাহিত থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বা অনুমতি ছাড়াই উপস্থিত থাকতে হবে। ২০২৪ সালের ১৭ জুন থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। ২০২৪ সালের ১৭ জুনের আগে এবং ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে তাদের অনিবাসী পিতামাতা একটি বৈধ বিয়েতে আবদ্ধ হতে হবে। অযোগ্য অপরাধমূলক ইতিহাস থাকতে পারবে না এবং জননিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা বা সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হওয়া যাবে না। বায়োমেট্রিকস জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ও জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস প্রোগ্রামের অখণ্ডতা এবং প্রতারণা প্রতিরোধের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈধ বিয়ের অস্তিত্ব সমর্থনকারী প্রমাণ যাচাই করার জন্য ইউএসসিআইএস বিদ্যমান প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন ব্যবহার করবে। আই-১৩১ এফ ফরমের চূড়ান্ত বিবেচনার সময়, ইউএসসিআইএস কঠোর পদ্ধতি প্রয়োগ করবে যাতে প্রতারণামূলক বিবাহের ভিত্তিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া না হয়।
ডিএইচএস অনুমান করে যে প্রায় ৫ লাখ অনিবাসী স্বামী/স্ত্রী এবং ৫০ হাজারের বেশি অনিবাসীর সন্তানরা এ যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে পারে। যদি তাদের প্যারোল মঞ্জুর করা হয়, তাহলে এদের মধ্যে যারা অন্যভাবে যোগ্য, তারা দেশ ছাড়াই বৈধ স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারে। ‘কিপিং ফ্যামিলিস টুগেদার’ দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস সমর্থিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মী এবং প্রবীণদের কিছু পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি অনুরূপ প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এই প্রোগ্রামটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং এটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে টিকে থাকবে কি না—তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম বহিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, অন্যদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস অভিবাসন সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এ প্রোগ্রামটি বাইডেন প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করবে।
ওয়াজ–বয়ানের আদবকায়দা ও শিষ্টাচার
টিউলিপ যেভাবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন
কেন এই বিএনপি-জামায়াত বিরোধ, শেষ কোথায়
সব দরজা বন্ধ হলেও ফিলিস্তিনিরা পথ খুঁজে নেয়
সংস্কারের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
নিউইয়র্কের মিলন ও সস্ত্রীক কল্লোল পেলেন বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি অ্যাওয়ার্ড
শেখ পরিবারের সীমাহীন দুর্নীতি: অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক
স্মরণ | বাংলা সাহিত্যাকাশে অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্র আবদুল মান্নান সৈয়দ
আ.লীগের মন্ত্রী-সাংসদদের বিরুদ্ধে এক ডজন মামলার প্রস্তুতি দুদকের
ক্যান্সারের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি কী, এগুলো কাজ করে?
Trending
-
বাংলাদেশ55 mins ago
শেখ হাসিনা কি ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন?
-
বাংলাদেশ59 mins ago
বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম বদলের প্রস্তাব: বাদ যাবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা
-
বাংলাদেশ59 mins ago
বাংলাদেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র
-
নিউইয়র্ক58 mins ago
বারবার ঘড়ির সময় পরিবর্তনের বিপক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্প