তালা ভেঙ্গে ফাইল উদ্ধার
আয়নাঘর থেকে ফিরে আসাদের মতোই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন দূতাবাসের চাঞ্চল্যকর মিলিয়ন ডলার চুরির গায়েব হওয়া তদন্ত ফাইল। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালাবদ্ধ একটি ড্রয়ার থেকে তা উদ্ধার করেছে গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতাসীন অন্তবর্তীকালীন সরকার। অভিযোগ আছে নিজের সম্পৃক্ততা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে ওয়াশিংটনে পুকুর চুরির ওই ঘটনা তদন্তের ফাইল গায়ের করে দিয়েছিলেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রভাবশালী কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক সূত্র বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময়কে জানিয়েছে সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো তৌহিদ হোসেন ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে দায়িত্বরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চুরির বিষয়ে বিস্তারিত শুনেছেন। দেশে ফিরেই নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনকে ঘটনাটি দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নতুন করে কোনো অপশক্তি যেনো তদন্তের উদ্যোগে বাধা না হয়, সেজন্য তিনি ফাইল গায়েব এবং উদ্ধারের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নজরে এনেছেন। তদন্তের উদ্যোগ বিষয়েও তিনি সরকার প্রধানকে অবহিত করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে আগাম আলোচনা করে রেখেছেন বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। তাছাড়া ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী তার সরকারে অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন কর্মকর্তা নিউ ইয়র্কে শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবনযাপনকারী কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে মিশন সমুহে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে কথা হয়। পেশাদারদের ইতিবাচক অনেক কাজের প্রশংসা হলেও ডলার চুরি, শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতিবাজদের যুক্তরাষ্ট্রে অর্থপাচারে সহায়তা এবং দেশটিতে তাদের সম্পত্তি কেনার কাজে নানাভাবে সহায়তার করার নিন্দা জানানো হয়। নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততাদের তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার বিষয়েও কথা হয়। সুত্র মতে, সরকার চায় যত দ্রুত সম্ভব ওয়াশিংটনের চুরির তদন্তটি শেষ করতে।স্মরণ করা যায়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত মানবজমিন পত্রিকার বরাতে বিবিসি বাংলা জানায়, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র। আত্মসাৎ করেছে দূতাবাসের এক লাখ ৭৬ হাজার ডলারের ইমার্জেন্সি ফান্ড। এছাড়া দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে কৌশলে সরানো হয়েছে আরও প্রায় সোয়া তিন লাখ ডলার। সেই চুরির প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংবাদটিতে বলা হচ্ছে, শুধু সিডর ইমার্জেন্সি ফান্ড বা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট নয়, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন (বাংলাদেশ হাউস) মেরামতেও ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। মানবজমিনের রিপোর্টে জানানো হয়, দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ হাউসে অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। তার ব্যয় সাড়ে ৫ মিলিয়ন দেখানো হলেও প্রকৃত অর্থে তা ৩ মিলিয়নের বেশি হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া
4 Highboro Ct, Bethesda, MD 20817, USA বাংলাদেশ হাউসের ছাদের ফাটলের কারণে এখন তা অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত বছরের নভেম্বরে এসব ঘটনা তদন্তে ফাইল তুলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই ফাইল আরও আলোর মুখ দেখেনি।