সদ্য নিবার্চিত ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউন প্ল্যানে আতঙ্কিত না হয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ ও ইউএস সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। তিনি বলেন, যাদের ডিপোর্টেশন অর্ডার নেই এবং ইমিগ্রেশনে আবেদন পেন্ডিং আছে, তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।
গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে
এমনটা বলেন এ ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ।
ইমিগ্র্যান্টদের পক্ষে কাজ করা বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইন্ক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী সংগঠনটির চেয়ারম্যান।
সংগঠনটির অন্যতম পরিচালক তরিকুল ইসলাম মিঠু জানান, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর আনডকুমেন্টেড অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানোর ঘোষণা আসছে বলে প্রচারণা চলছে। এতে করে অভিবাসীদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা দূর করতে এবং এই সুযোগে কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেই সচেতনতা তৈরিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন এবং আমিন মেহেদী বাবু।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেফারড্ অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল (ডাকা) প্রোগামে খুব বেশী পরিবর্তন আসবে না। তবে ট্রাম্প চাইলে ভালো কিছুও হতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, যারা এ দেশে ওভার স্টে করছেন তাদের উচিত হবে অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির সঙ্গে পরামর্শ করে আবেদনের মধ্যে থাকা। তাহলে তাদের ভয়ের কিছু থাকবে না। তিনি বলেন, আনডকুমেন্টেড তাদেরই বোঝায় যাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রকার নথিপত্র নেই। তারা চাইলে আদালতের কাছে আশ্রয় চাইতে পারেন। তবে যাদের ডিপোর্টেশন অর্ডার আছে এবং ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তাদের জন্য বিষয়টি আতঙ্কের। তারা চাইলে আগেভাগে অ্যাটর্নির সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। তাদের চুপ করে বসে থাকা একেবারেই উচিত হবে না। তিনি বলেন, ভয়টাকে সবার জয় করতে হবে।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আনডকুমেন্টেডদের ডিপোর্টেশনে যুক্তরাষ্ট্রে যে আইন তা এখনো বলবৎ রয়েছে। এ ধরনের অনেকেই এ দেশ থেকে ডিপোর্টেড হচ্ছেন। তবে যাদের আদালত এবং ইমিগ্রেশন অফিসে কোনো কেস পেন্ডিং আছে তাদের ভয়ের কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে- এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, এটি বন্ধ করতে হলে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। যা অনেকটা অনিশ্চিত বলে মনে হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এক্সিডেন্ট কেইস এবং ইমিগ্রেশন বিষয়ে অভিজ্ঞতা থেকে মঈন চৌধুরী বলেন, যাদের আবেদন নাকচ হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেননি, কেবলমাত্র তারা ট্রাম্পের পরিকল্পিত অভিযানের ভিকটিম হতে পারেন। এ ধরনের প্রবাসীর সংখ্যা খুবই কম বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।