Connect with us

নিউইয়র্ক

এরিক অ্যাডামসের দুর্নীতির মামলা

Published

on

পদ ছাড়লেন নিউইয়র্কের ৪ ডেপুটি মেয়র, সিটিতে তোলপাড়

মেয়র এরিক অ্যাডামসের দুর্নীতির মামলা বাতিল নিয়ে বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করলেন নিউইয়র্ক সিটির চার ডেপুটি মেয়র। সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি, নিজের দুর্নীতির অভিযোগ খারিজের বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে অভিবাসীদের তুলে দিয়ে সমঝোতা করার অভিযোগ ওঠে অ্যাডামসের বিরুদ্ধে। সিটি হলের সামনে মেয়রের পদত্যাগ দাবিতে গভর্নর ক্যাথি হোকুলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে মেয়র অ্যাডামস জানান, পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট খারিজ করে দেয়ার পর, নতুন করে চাপের মুখে পড়েন মেয়র। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে, তার চার ডেপুটি মেয়র পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারীরা হলেন, ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া টরেস স্প্রিনজার, ডেপুটি মেয়র ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস অ্যান উইলিয়ামস-ইযম, ডেপুটি মেয়র ফর অপারেশন্স মীরা যোশী, এবং পাবলিক সেইফটি বিষয়ক ডেপুটি মেয়র চন্সি পার্কার। তবে কবে থেকে তাদের পদত্যাগ কার্যকর হবে তা এখনো নিশ্চিত

করা হয়নি। প্রতিক্রিয়ায় মেয়র অ্যাডামস বলেন, নির্বিঘ্নে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ডেপুটি মেয়ররা আপাতত তাদের ভূমিকা পালন করবেন।
নিজ স্বার্থে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার যার টম হোম্যানের সাথে অভিবাসী বিষয়ে সমঝোতায় গেছেন মেয়র অ্যাডামস। এমন দাবি করে সোমবারও সিটি হলের সামনে অ্যাডামসের পদত্যাগ বা তাকে অফিস থেকে সরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিজের মামলা প্রত্যাহারের জন্য, সিটির বাসিন্দাদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জিম্মি করেছেন অ্যাডামস।
সিটি হলের সামনে মেয়র অ্যাডামসকে সরিয়ে দিতে গভর্নর ক্যাথি হোকুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলেও এখন তারা অন্য কাউকে এই পদে দেখতে চাচ্ছে।
তবে মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। অ্যাডামস মনে করেন, সিটির সিংহভাগ মানুষ এখনো তার সমর্থনে আছেন।
আইস’কে রাইকারস আইল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার বিপরীতে হোম্যানের সাথে সমঝোতায় গেছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস, এমন দাবিতে সমর্থন জানিয়ে ইতোমধ্যে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন প্রসিকিউটরও পদত্যাগ করেছেন।
তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার যার টম হোম্যান।
এদিকে নিউ ইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র বিল ডি ব্ল্যাযিও মনে করেন, ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক সিটির ক্ষতি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মেয়র অবস্থান নেবেন, সিটির বাসিন্দাদের এমনটা নিশ্চিত করতে না পারলে অ্যাডামসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পরতে পারে।
তবে অ্যাডামসের বিরুদ্ধে খারিজ করা দুর্নীতির মামলাটিকে দুর্বল বলে মনে করেন ব্ল্যাযিও। বর্তমানে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সাবেক এই মেয়র।

 

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending