৩৪টি মামলার সবকটিতেই দোষী
নিউইয়র্কে হাশ মানি ট্রায়ালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট অপরাধের কারণে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলার ৩৪ অভিযোগেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ম্যানহাটন জুরির সকল সদস্য।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী ১১ই জুলাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজার শুনানি নির্ধারণ করেছেন বিচারক হুয়ান মার্চেন। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা টাম্পের বিচারের যুক্তিতর্কে ট্রাম্পকে নির্দোষ জাহির করে ১২ জুরিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা নিয়েছেন তার আইনজীবী ব্লানশে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তাছাড়া, এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ১২ জুরির সবাই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, প্রসিকিউটররা সন্দেহাতীতভাবে দোষ প্রমাণ করতে পেরেছেন। ট্রাম্প দোষী হিসেবে রায় দেওয়ায় তিনি হলেন গুরুতর অপরাধে দোষী
সাব্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান একটি দল থেকে দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ে থাকা প্রথম একজন প্রার্থী। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ১ বছর চার মাস থেকে ৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে, জেলে থাকার সময়টুকু ধরে আসামিদেরকে সাধারনত একবছর কিংবা তার কম সময় সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের জরিমানা কিংবা প্রবেশন অর্থাৎ শাস্তি স্থগিত রাখা কিংবা কারাবন্দি না রাখার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া, ট্রাম্পের সাজার ক্ষেত্রে বিচারকদের কিছু বিবেচনার বিষয় আছে। এর একটি হল তার ৭৭ বছর বয়স। সেইসঙ্গে এর আগে আদালতের রায়ে অভিযুক্ত না হওয়া এবং আদালতের সম্ভাব্য আদেশ লঙ্ঘনের মত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবেন বিচারক।