মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে জোড়া বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকযুদ্ধের ফলে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। সেখানে অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পৃথক এক বন্দুক হামলার ঘটনায় আরও দুজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মিনিয়াপোলিস শহরের হুইটিয়ার এলাকায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন মিনিয়াপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন দমকলকর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ প্রধান কেটি ব্ল্যাকওয়েল।
ব্ল্যাকওয়েল বলেন, ‘স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছানোর পর পেছন থেকে বন্দুকধারী তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং কর্মকর্তারা পাল্টা গুলি চালায়। এই বন্দুকযুদ্ধের ফলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।’
মিনিয়াপোলিস পুলিশ জানিয়েছে, জীবন রক্ষার চেষ্টা সত্ত্বেও বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। ব্ল্যাকওয়েল বলেন, কর্তৃপক্ষ গুলিবিদ্ধ আরও তিনজন বেসামরিক নাগরিককে খুঁজে পায়। যাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তা জামাল মিচেল (২৮) সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে খুব কাছ থেকে বন্দুকযুদ্ধ করেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ জানায়, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময় অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দেড় থেকে দুই ব্লক দূরে বন্দুকধারী গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কর্মকর্তা মিচেল।
মিনেসোটার বিওরো অফ ক্রিমিনাল অ্যারেঞ্জমেন্টের সুপারিনটেনডেন্ট ড্রিউ ইভান্স বলেন, ‘মিচেল গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বুঝে উঠার আগেই বন্দুকধারী মিচেলকে আক্রমণ করে। গুলিবিদ্ধ মিচেল এবং অন্য এক কর্মকর্তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান মিচেল।’
বৃহস্পতিবারের গোলাগুলির কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজনের পরিচয় জানে পুলিশ। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দারা।