সারা বিশ্ব
রাইসির জানাজায় লাখো মানুষের ঢল
Published
5 months agoon
- মঙ্গলবার তাবরিজে রাইসির জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে
- তেহরানে জানাজা নামাজের ইমামতি করবেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ইতিমধ্যে মৃতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। এ সময় প্রিয় নেতার জন্য শোক প্রকাশ করেন তারা।
মঙ্গলবার এ খবর জানায় ইরানের গণমাধ্যমগুলোসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ নিহত অন্যদের প্রথম জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভোর থেকেই নির্ধারিত স্থানে মানুষ জড়ো হতে থাকেন। তাদের বেশিরভাগের পরনে ছিল কালো পোশাক। অনেকের হাতে ছিল রাইসির ছবি ও ইরানের পতাকা।
হেলিকপ্টারের বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরানহেলিকপ্টারের বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরান
ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
আল জাজিরা জানায়, তাবরিজের জানাজা শেষে আরও কয়েকটি স্থানে জানাজার আয়োজনের কথা রয়েছে। পরে রাইসি, আব্দুল্লাহিয়ানের মরদেহ তেহরানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আরও একটি জানাজা হবে।
তেহরানে অনুষ্ঠিতব্য জানাজা নামাজের ইমামতি করবেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সেখানে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে রাইসির মরদেহ ইরানের উত্তর-পূর্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বেড়ে উঠেছিলেন।
রাইসির দাফনসংক্রান্ত সব কার্যক্রমই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পাদন করা হচ্ছে। এছাড়া মাশহাদে আয়োজকরা বলেছেন যে তারা পবিত্র শহরে রাইসির জন্য বৃহস্পতিবার একটি “গৌরবময়” দাফনের পরিকল্পনা করছেন।