Connect with us

সারা বিশ্ব

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মার্কিন ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করার পাশাপাশি ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এই দুর্ঘটনায় ভূমিকা পালন করেছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

রোববার হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এই দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণ হিসেবে তেহরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা দায়ী নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভূমিকার অভিযোগকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ যুক্তরাষ্ট্রের জানা নেই। ইরানি সূত্রগুলো যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে ঘন কুয়াশার দিকে ইঙ্গিত করেছে।’

আনাদোলুর প্রতিবেদন বলছে, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল-২১২ মডেলের ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ ধরনের হেলিকপ্টার গত শতকের সত্তরের দশকে কিনেছিন ইরান। কিন্তু ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লবের পর তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব মেরামতে যন্ত্রাংশ কেনাটা ইরানের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে প্রায়ই নিরাপত্তা পরীক্ষা ছাড়াই হেলিকপ্টারগুলো উড্ডয়ন করতো।

আর এই প্রেক্ষাপট টেনেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছিলেন ইরানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। সোমবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জারিফ বলেছিলেন, ‘গতকালের ট্র্যাজেডির অন্যতম প্রধান দোষী যুক্তরাষ্ট্র, যারা… ইরানের কাছে বিমান এবং বিমানের যন্ত্রাংশ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা ইরানের জনগণকে ভালো বিমান চলাচলের সুবিধা উপভোগ করতে দেয় না।’

এমন অভিযোগের পরপরই মুখ খুলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। সাংবাদিকরা এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইরানের সরকারি সূত্রগুলো দুর্ঘটনা কারণ হিসাবে খারাপ আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে কুয়াশা।’

তার মতে, ‘প্রতিটি দেশ, সেটা যেই হোক না কেন, তাদের সরঞ্জামগুলোর সুরক্ষা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা তাদের নিজস্ব দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’

জন কিরবি বলেন, ‘আবারও বলছি, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ, এর কোনো সত্যতা নেই। এটা আশ্চর্যজনক নয়, দুঃখজনক।’

তার দাবি, ‘কিন্তু এটি আশ্চর্যজনক নয় যে, ইরান সরকার আবারও তার নিজের তৈরি সমস্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপের চেষ্টা করার উপায় খুঁজেছে।’

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending