ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা যেকোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে তেহরান ও নয়াদিল্লির মধ্যে চুক্তি সইয়ের পর এই হুমকি এলো।
সোমবার (১৩ মে) চাবাহারের শহীদ বেহেশতি বন্দর টার্মিনাল ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তিটি হয়। বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উপস্থিতিতে ইন্ডিয়া পোর্ট গ্লোবাল লিমিটেড ও মেরিটাইম অর্গানাইজেশন অব ইরান ওই চুক্তি করে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চুক্তির আওতায় বিনিয়োগ করা হবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ভারত খরচ করবে ১২০ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে ইরানের তরফ থেকে। ওমান উপসাগরের মুখে চাবাহার বন্দরের অবস্থান।
এই বন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তান ও এশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বাণিজ্য করতে পারবে দিল্লি। পাকিস্তানের বাধার মধ্যে যা প্রায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া এই বন্দর ব্যবহার করে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের দুয়ার খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০৩ সালে চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে ভারত আগ্রহ দেখালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্দরটির উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল তার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চাবাহার বন্দর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত-ইরানের মধ্যে চুক্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। ইরানের ওপর আমাদের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটি বহাল থাকবে এবং আগামীতে এটি আরও জোরদার করা হবে।’
ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, ইরানের সঙ্গে যারাই বাণিজ্যিক চুক্তি করবে তাদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।’
ভারত ও ইরানের ওই চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি কোনো মূল্যায়ন করেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল না বলে জবাব দেন।