সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ৩০ হাজার ডলার চুরির কথা স্বীকার করেছেন তারই সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল এবং স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল তাতে মিথ্যা তথ্য ছিল। এ গুলোতে ট্রাম্প অনুমোদন দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন কোহেন।
দেশটীর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কোহেনকে জেরা করেন প্রসিকিউটররা। গতকাল ছিল তার সাক্ষ্যের শেষ দিন। গতকাল কোহেন স্বীকার করেন যে তিনি ট্রাম্পের ৩০ হাজার ডলার চুরি করেছিলেন। একটি প্রযুক্তি ফার্ম রেড ফ্লিন্চকে দিতে ট্রাম্পের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৫০ হাজার ডলার। অথচ ওই ফার্মকে তিনি মাত্র ২০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন।
কোহেন বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনি যা কিছু করেছেন তার সবকিছুতেই ট্রাম্পের সমর্থন ছিল। তিনি জানান, ট্রাম্প উদ্বিগ্ন ছিলেন যে স্টর্মির সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ হলে তার নির্বাচনি প্রচারণায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যে কোনো উপায়ে ট্রাম্প তাকে প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া কোহেন ট্রাম্পকে বলেন, একটি প্লেবয় মডেল জানিয়েছেন যে আপনার (ট্রাম্প) সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই তথ্য জানার পর ট্রাম্প দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওই নারী ছিলেন কারেন ম্যাকডুগাল। মুখ বন্ধ রাখতে তাকে এক লাখ ৫০ হাজার ডলার দেওয়া হয়। সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্স