টেক্সাসের হিউস্টন পুলিশ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার নিখোঁজ হওয়া এক নারীর সন্ধান করতে গিয়ে একটি কুমিরের চোয়ালের ভেতরে এক নারীর দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।
খুঁজে পাওয়া দেহাবশেষের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
হিউস্টন পুলিশ এখনও ময়নাতদন্তের ফল এবং দেহাবশেষ শনাক্তকরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে দেহাবশেষগুলো ৬০ বছর বয়সী একজন নারীর বলে ধারণা করছেন তারা।
কুমিরটি তাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলেছে নাকি ওই নারী মারা যাওয়ার পরে কুমিরটি তার দেহাবশেষ ছিঁড়ে ফেলেছিল, সেটাও তাদের তদন্তে জানা যাবে।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ কুমিরটিকে গুলি করে হত্যা করে যাতে এটি দেহাবশেষের আরও ক্ষতি করতে না পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুমিরটি মারা যাওয়ার পর একজন ডুবুরি মৃত কুমিরের দেহ উদ্ধার করতে পানিতে নেমেছিলেন।
আট মাস আগে ফ্লোরিডার লার্গোতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
সেখানকার কর্মকর্তারা ১৩ ফুট লম্বা একটি কুমিরকে মুখে ধড় নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখে গুলি করে হত্যা করে।
পরে দেহাবশেষগুলো ৪১ বছর বয়সী সাবরিনা পেকহ্যামের বলে শনাক্ত করা হয়।
এর কয়েক মাস আগে ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্সের সামনে ১০ ফুট লম্বা একটি কুমির ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নারীকে হত্যা করে। তিনি তার কুকুরকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন।
২০১৫ সালে টেক্সাসের অরেঞ্জে সাঁতার কাটতে গিয়ে কুমিরের আক্রমণের শিকার হন ২৮ বছর বয়সী এক যুবক। পরে তার মৃত্যু হয়।