৬৭ বছর বয়সী অনুজীব বিশেষজ্ঞ এলিনা ঝুকোভার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেম করছেন মারডক। এবার প্রণয়কে পরিণতি দিলেন এ জুটি।
প্রেমে পড়ার কোনো বয়স নেই, বয়স নেই বিয়েতেও! হ্যাঁ, এই কথাকেই বাস্তবে রূপ দিলেন ‘মিডিয়া মোগল’ রুপার্ট মারডক।
স্থানীয় সময় শনিবার ৯৩ বছর বয়সে পঞ্চমবারের মতো তিনি বিয়ের বসেন বলে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য সানের বরাতে জানিয়েছে সিএনএন।
৬৭ বছর বয়সী অনুজীব বিশেষজ্ঞ এলিনা ঝুকোভার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেম করছেন মারডক। এবার প্রণয়কে পরিণতি দিলেন এ জুটি।
মারডকের মালিকানাধীন দ্য সান মারডক-এলিনার বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বেল-এয়ারে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
অনুজীব বিশেষজ্ঞ এলিনা মূলত ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ। এর আগে দুবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তার। রাশিয়ার নাগরিক হলেও ১৯৯১ সালে মেয়ে ডাসা ঝুকোভাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রেই স্থায়ী হয়েছেন এ বিশেষজ্ঞ।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলিনার সঙ্গে মারডকের প্রথম আলাপ হয় তার তৃতীয় স্ত্রী ওয়েন্ডি ডেং-এর মাধ্যমে। এরপর কেটেছে বেশ কয়েক বছর। সর্বশেষ চতুর্থ স্ত্রী জেরি হলের সঙ্গে তার বিয়েবিচ্ছেদ হয় ২০২২ সালে।
গত বছরের আগস্ট মাসে প্রথম এ জুটিকে একসঙ্গে দেখা যায়।
এর আগে প্যাট্রিসিয়া বুকার নামে অস্ট্রেলিয়ার এক বিমানকর্মী, স্কটল্যান্ডের সাংবাদকর্মী অ্যানা ম্যানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রুপার্ট। তার প্রথম তিন স্ত্রীর ছয় সন্তান রয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চে জানা গিয়েছিল, পঞ্চম বিয়ে করতে চলেছেন রুপার্ট। তখন অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে বাগদানও সারেন তিনি, কিন্তু বাগদানের এক সপ্তাহ পরই অ্যানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন রুপার্ট।
ওই সময় তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছিলেন, পঞ্চম বিয়ে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন রুপার্ট, কিন্তু অ্যানের অতিরিক্ত স্পষ্টবাদিতা এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল তার। তাই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।
১৯৫০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন রুপার্ট। ১৯৬৯ সালে ব্রিটেনের দুটি প্রখ্যাত সংবাদপত্রের মালিকানা স্বত্ব পান তিনি। তার পরে ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ ও ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর মতো সংবাদপত্রের মালিকানাও রুপার্টের হাতে আসে।
১৯৯৬ সালে ‘ফক্স নিউজ’ শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সালে শুরু করেন ‘নিউজ কর্প’। গত সেপ্টেম্বরে ‘ফক্স’ এবং ‘নিউজ কর্প’-এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান রুপার্ট। তার জায়গায় ‘নিউজ কর্প-এর চেয়ারম্যান হয়েছেন ছেলে লাচলান মার্ডক। ফক্সেরও চেয়ারম্যান তথা সিইও পদে বসেন লাচলান।