Connect with us

সারা বিশ্ব

ভারতের পার্লামেন্টে বহুল বিতর্কিত বিলটি পাস হলে ক্ষতি হবে মুসলিমদের

Published

on

newyork-somoy

ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের আনা একটি বিতর্কিত বিল পাস করেছে। এখন এটি আইনে পরিণত হওয়ার আরও কয়েক ধাপ অতিক্রমের পথে। এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি এখন ভারতের রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের মুসলিম দান নিয়ন্ত্রণকারী আইন সংশোধনের উদ্যোগে আবারও ব্যাপক বিতর্কের মুখোমুখি বিজেপি সরকার।
সংশোধিত ওয়াকফ বিল অমুসলিমদেরও দানপত্র পরিচালনাকারী বোর্ডগুলোতে যুক্ত করবে এবং তাদের জমির মালিকানা বৈধকরণে সরকারকে আরও গুরুত্বপূর্ণ আইনসিদ্ধ ভূমিকা দেবে। ওয়াকফ বলতে ব্যক্তিগত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বোঝায়; যা মুসলিমরা ধর্মীয় বা দাতব্য

উদ্দেশ্যে স্থায়ীভাবে দান করেন।
মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যুক্তি দিচ্ছে, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সরকারকে লড়াই করতে সহায়তা করবে।
কিন্তু মুসলিমরা আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির আওতাধীন ঐতিহাসিক মসজিদ, দোকান, মাজার, কবরস্থান এবং হাজার হাজার একর জমি বাজেয়াপ্ত, বিরোধ এবং ধ্বংসের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বুধবার (২ এপ্রিল) ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষে ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এটিকে অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করে।
কিন্তু তারপরও গভীর রাতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল লোকসভায় পাস হয়। বিলের পক্ষে পড়ে ২৮৮ ভোট, বিপক্ষে ২৩২টি। বৃহস্পতিবার বিলটি পেশ হয় রাজ্যসভায়। সেখানেও রয়েছে সরকারপক্ষের গরিষ্ঠতা। ফলে বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি পাস হলে, আইনে পরিণত হওয়ার আগে এটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।
ওয়াকফ বিলের সবচেয়ে বিতর্কিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো, এর মালিকানা বিধি। যা শত শত মসজিদ, মাজার এবং কবরস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এই ধরনের অনেক সম্পত্তির আনুষ্ঠানিক নথিপত্র নেই। কয়েক দশক এমনকি শতাব্দী আগেও আইনি রেকর্ড ছাড়াই মুসলিমরা সেসব দান করেছিলেন।
অনেক ভারতীয় মুসলিম আশঙ্কা করছেন, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার মুসলিম সম্পত্তির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ অর্জন করবে। বিশেষ করে এমন এক সময়ে আইনটি হতে চলেছে যখন মোদির অধীনে মুসলিমদের ওপর হামলা আরও ঘন ঘন এবং আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। মুসলিমরা প্রায়শই তাদের খাদ্য এবং পোশাক থেকে শুরু করে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ পর্যন্ত সবকিছুর জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

Advertisement
Comments
Advertisement

Trending